লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবিতে মারা যান দুরন্ত বিপ্লব: পিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার কেরানীগঞ্জের খামার থেকে মোহাম্মদপুরের বাসায় ফেরার পথে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবিতে দুরন্ত বিপ্লব মারা যান বলে দাবি করছে পিবিআই। তবে পরিবারের প্রশ্ন, নৌকাডুবিতে মারা গেলে চিকিৎসক তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পেলেন কীভাবে? তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সদস্যপদে ছিলেন।

এ ঘটনায় পিবিআইয়ের এক তদন্ত কর্মকর্তা আজ শনিবার জানান, যে নৌকায় করে দুরন্ত নদী পার হচ্ছিলেন, সেখানে পাঁচজন যাত্রী ছিলেন। একটি লঞ্চ ওই নৌকাকে ধাক্কা দিলে সবাই পানিতে পড়ে যান। চার যাত্রীকে উদ্ধার করা গেলেও পানিতে ডুবে মারা যান তিনি।

১২ নভেম্বর বিকেলে বুড়িগঙ্গা নদীর ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সেদিন রাত ১২টার দিকে লাশটি দুরন্ত বিপ্লবের বলে শনাক্ত করেন স্বজনরা। ৭ নভেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় দুরন্তের বোন শাশ্বতী বিপ্লব গত শুক্রবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের খামার থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটিতে মায়ের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বের হন তার ভাই। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ।

মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সূত্র বলছে, শুরু থেকেই এ ঘটনার ছায়া তদন্ত করছিল তারা। দুরন্ত বিপ্লবের মৃত্যুর বিষয়ে চিকিৎসকের একটি বক্তব্যকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে তারা তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেই নৌকাডুবির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

খামার থেকে ঘাট পর্যন্ত আসার সব তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করেছেন জানিয়ে পিবিআই ঢাকা জেলার এসআই সালেহ ইমরান বলেন, দুরন্ত বিপ্লব খামার থেকে বেরিয়ে নূর পেট্রলপাম্পের এখানে রাস্তায় ওঠেন। সেখানে তার অবস্থান শনাক্ত হয়েছে বিকেল ৪টা ৪৭ মিনিটে। সেখান থেকে তিনি হেঁটে এসে খোলামোড়া সিএনজি স্টেশনে পৌঁছান ৪টা ৫৫ মিনিটে। সেই অটোরিকশায় করে জিনজিরা ফেরিঘাটে নামেন ৫টা ১২ মিনিটে।

শেয়ার করুন