জিজ্ঞাসাবাদের গোপন ব্যবস্থা বন্ধ করা উচিত: আসক

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন ও সালিশ কেন্দ্র
ফাইল ছবি

বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক নূর খান বলেছেন, গোপন যে ব্যবস্থা রয়েছে, যাকে কারাগার বা ডিটেনশন সেন্টার বলি কিংবা ইন্টারোগেশনের (জিজ্ঞাসাবাদের) জন্য যেসব জায়গা রয়েছে, সেগুলো বন্ধ করা উচিত। আমাদের আইন ও সংবিধান এগুলো সমর্থন করে না। যারা এগুলো পরিচালনা করেন, তাদের চিহ্নিত করা উচিত।

আজ শনিবার রাজধানীতে আসকের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে নূর খান এসব মন্তব্য করেন। ২০২২ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আসকের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি বিভীষিকাময় বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন নূর খান।

নূর খান বলেন, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেকটাই মাকাল ফলের মতো। যেমন ধরুন, লেপে পেঁচিয়ে মানুষকে পেটানো হলে তার ভেতর রক্তক্ষরণ হবে, কিন্তু বাইরে থেকে কিছু বোঝা যাবে না।

আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদায়ী বছরে সারাদেশে ৪৭৯টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৭০ জন। আহত হন ৬ হাজার ৯১৪ জন।

বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর বন্দুকযুদ্ধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপহরণ, গুম ও নিখোঁজ হয়েছেন ৫ জন।

নূর খান আরও বলেন, আমরা মনে করি, বিচারবহির্ভূত সব তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। গুম, খুন ও অপহরণের ঘটনা বন্ধে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে হবে। কমিশন চিহ্নিত করবে, এ ধরনের তৎপরতার সঙ্গে কারা জড়িত। জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

আসকের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, আমরা বিচারবহির্ভূত প্রতিটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। দেখেছি, প্রতিটি ঘটনার তদন্ত একটা পর্যায়ে গিয়ে থেমে যায়। তাই প্রতিটি ঘটনার স্বাধীন তদন্ত হওয়া দরকার।

২০২২ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আসকের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংস্থাটির পরিচালক নিনা গোস্বামী ও সমন্বয়ক ফজলুল কবির। এ সময় কিছু সুপারিশও তুলে ধরেন তারা।

শেয়ার করুন