যুদ্ধ ও সংঘাতের প্রথম শিকার নারীরা। তবে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় নারীর প্রতিনিধিত্ব এখনো খুব কম। গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এসব কথা বলেছেন কর্মকর্তারা। খবর এএফপির।
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে গতকাল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক বিতর্ক হয়। এ বিতর্কে অংশ নিয়ে ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক সিমা বাহাউস বিশ্বব্যাপী নারীর জীবন, স্বাস্থ্য ও অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
সিমা বাহাউস বলেন, নারীর বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালিয়ে যারা দায়মুক্তি ভোগ করছেন, তাদের ব্যাপারে বড় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। আবার শান্তি আলোচনায় নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন আসেনি।
আফগানিস্তানে ‘লৈঙ্গিক বর্ণবাদের’ তীব্র সমালোচনা করেন সিমা বাহাউস। তিনি বলেন, নারীদের অধিকার হরণের সবচেয়ে বড় উদাহরণগুলোর একটি আফগানিস্তান।
নারীদের দুর্ভোগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে সিমা বাহাউস চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন থেকে যে লাখো মানুষ পালাতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের প্রায় ৯০ শতাংশই নারী ও শিশু। আবার এ যুদ্ধে যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, তাদের ৭০ শতাংশই নারী।
নারীদের দুর্ভোগ লাঘবে শান্তিই একমাত্র উপায় বলে মন্তব্য করেন সিমা বাহাউস। একই সঙ্গে তিনি শান্তিপ্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ডও একই কথা বলেন। তিনি সারাবিশ্বে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে চলা সহিংসতা-নিপীড়নের প্রতি নিরাপত্তা পরিষদের মনোযোগ আকর্ষণ করেন।
ফরাসি কর্মকর্তা মারলেন শিপ্পা বলেন, যুদ্ধ ও সংকটে নারীদেরই সর্বোচ্চ মূল্য গুনতে হয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি ইউক্রেন, ইয়েমেন, সোমালিয়ার মতো দেশের পরিস্থিতি উল্লেখ করেন। বলেন, সব সংঘাত-সংকটে বিশেষ করে নারীরা ভুক্তভোগী হন। এমনকি তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যৌন ও লৈঙ্গিক সহিংসতার শিকার হন। যারা এসবের জন্য দায়ী, তাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার।