‘বিএনপির অভ্যন্তরে মতপ্রকাশের কোনো স্বাধীনতা নেই’ বলে দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মির্জা ফখরুলদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। সুদূর লন্ডন থেকে যে ওহি নাজিল হয়, যে সিদ্ধান্ত আসে, মুখ বন্ধ করে তা মেনে নিতে বাধ্য হন ফখরুল সাহেবরা।
দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামির প্রেসক্রিপশনে বিএনপি পরিচালিত হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলটিতে অগণতান্ত্রিক ও অগঠনতান্ত্রিকভাবে কমিটি ভাঙা-গড়া, বহিষ্কার-পুরস্কার নির্ধারিত হয়। কমিটি ও মনোনয়ন নিয়েও বাণিজ্য চলে।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন ওবায়দুল কাদের। এতে বলা হয়েছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘মিথ্যাচার এবং অসত্য, মনগড়া ও বানোয়াট’ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদেরের এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে বিএনপি মহাসচিব কবে, কোথায় এবং কী মিথ্যাচার করেছেন, বিবৃতিতে তা উল্লেখ করা হয়নি।
এর আগে করোনা মহামারির সময় নিজ বাসভবন থেকে প্রায় প্রতিদিন বক্তব্য বা বিবৃতি দিতেন ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশ টেলিভিশনের একজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত থাকতেন। এরপর তা লিখে ও ভিডিও করে অন্যান্য গণমাধ্যমে পাঠানো হতো।
আজকের বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মানুষের বাক, ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়। কারণ, বিএনপি কখনোই জনগণের বাক্স্বাধীনতা ও জনমতকে ধারণ করেনি। বিএনপির জন্মই হয়েছিল বন্দুকের নলের মুখে জনগণকে জিম্মি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের বাক্স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অবাধ সুযোগ প্রতিষ্ঠায় অবিরাম আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। বর্তমান সরকারের সময়ে দেশে মানুষের বাক, ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুসংহত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে মতপ্রকাশের অনিরুদ্ধ দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুযোগের অপব্যবহার করে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা প্রতিনিয়ত চিরায়ত ভঙ্গিতে সরকারের বিরুদ্ধে নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন।