বান্দরবানে কলাগাছের সুতায় এবার আরও একটি উন্নত মানের কলাবতী শাড়ি তৈরি হচ্ছে। এ জন্য আজ রোববার চরকায় সুতা কাটা শেষ করা হবে। আগামীকাল সোমবার শুরু হবে শাড়ি বুননের কাজ। কালাঘাটার পিস হস্তশিল্প কেন্দ্রে বুননশিল্পীরা এখন এ নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
বুনন শেষ হলে শাড়িটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা সংস্থা পিস নারী কল্যাণ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) সাইং সাইং উ মারমা।
জেলা শহরের কালাঘাটায় গিয়ে দেখা যায়, পিসের নির্বাহী পরিচালক সাইং সাইং উ নিজে তাঁতে শাড়ি বুননকাজে ব্যস্ত। পাশে রয়েছেন প্রশিক্ষক ও মণিপুরি বুননশিল্পী কবিতা দেবী। একটি কুটিরে কলাবতী বুননকাজের প্রস্তুতি চলছে। পরীক্ষামূলক প্রথম কলাবতী শাড়ি বুননশিল্পী রাধাবতী দেবী এবারে আসতে পারেননি। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের দত্ত সিংহ নামের একজন পুরুষ শিল্পী (কারিগর) কাজ করছেন। সেখানে উন্নত মানের আরেকটি তাঁত বসানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জন্য কলাবতী বুননকাজের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। ড্রামে সুতা কাটা (চরকা) হলে বুননকাজ শুরু করা যাবে। সিল্ক ও কলাগাছের তন্তুর সুতার সংমিশ্রণে এবারের কলাবতী শাড়ি তৈরি করা হবে। শাড়ির নকশা কে করবেন, জানতে চাইলে দত্ত সিংহ বলেন, এটি মণিপুরি শাড়ির মতো হবে এবং সবাই মিলে আলোচনা করে নকশা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান পিস নারী কল্যাণ সংগঠনের কার্যালয় ও হস্তশিল্প কেন্দ্র জেলা শহরের কালাঘাটায়। সেখানে কলাগাছের সুতায় পাহাড়ি ও বাঙালি নারীরা কাজ করেন। তারা তাঁতে শাড়ি ও কাপড় বুনছেন, কেউ নাটাইয়ে সুতা টানছেন, মসৃণ করছেন। মৌলভীবাজার থেকে মণিপুরি তাঁতি কবিতা দেবীকে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। কবিতা দেবী বললেন, পাহাড়ি নারীরা এমনিতে কোমরতাঁতে কাপড় বুননে দক্ষ। অনেকে ইতিমধ্যে মণিপুরি তাঁতে বুননকাজও শিখে ফেলেছেন।