দেশে সবকিছু মিলিয়ে একটি ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম ও সংবাদপত্র’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেছেন তিনি। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভার আয়োজন করে গণসংস্কৃতি ফ্রন্ট।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রের যদি কোনো জবাবদিহি না থাকে, তাহলে অন্যত্রও জবাবদিহি থাকে না। অপরাধ, বিচারহীনতা, জবাবদিহির অভাব ও নিপীড়ন চলছে। সবকিছু মিলিয়ে একটি ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। এই ভয় সংবাদপত্রের মধ্যেও আছে। সাংবাদিকেরা ভয় পান। ভেতর থেকেই ভয় থাকায় সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়ার দরকার হয় না।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর–রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া ৯৭ বারের মতো পেছানোর বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাগর–রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করা হচ্ছে না। এতে বোঝা যায়, সংবাদপত্রের ওপর কী রকম নিপীড়ন চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গ্যাং সংস্কৃতি, মাদক ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ একসময় অকল্পনীয় ছিল বলে উল্লেখ করেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকার বদল হয়। তবে কোনো সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচন করার কথা বলে না। কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন শিক্ষিত লোকের বস্তিতে পরিণত হয়েছে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য গণতান্ত্রিক ও সমাজ পরিবর্তনের সংগ্রাম করতে হবে বলে মনে করেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক প্রস্তুতিতে আমরা সংবাদপত্রকে যুক্ত করতে চাই। সাংস্কৃতিকভাবে সমাজ পরিবর্তনের পক্ষে জাগরণ আনতে না পারলে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না।