‘কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে লাগবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি : সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, লিবিয়া বা সিরিয়ার মতো আভ্যন্তরীণ সংঘাত যেই দেশে বেশি, সেই দেশে ষড়যন্ত্র সফল হয়। বাংলাদেশে আভ্যন্তরীণ সংঘাত খুব কম। ফলে এখানে ষড়যন্ত্র সফল হবে না। দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে লাগবে না। আজ বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘বাংলাদেশে দুই দলের বিরোধী অবস্থানের কারণে সামরিক শাসকের উত্থান ঘটতে পারে’, এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাস্তব অবস্থা হচ্ছে বিএনপি বড় বড় সমাবেশ করে। শুনেছি তারা অর্থ খরচ করে লোক আনে। কিন্তু বৃহত্তর জনগণের কাছে গেলে জানতে পারবেন, তারা আওয়ামী লীগকেই পছন্দ করে। আওয়ামী লীগ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। শক্ত অবস্থানে থাকলে বিদেশি বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্র কাজে লাগবে না। আর আমরা যদি দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ থাকি, তাহলে কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে লাগবে না। সেই সমস্ত দেশে ষড়যন্ত্র সফল হয়, যেখানে আভ্যন্তরীণ সংঘাত থাকে অনেক বেশি।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সামনে রেখে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত হয় অর্থনৈতিক জোট ব্রিকস। আর এতে যোগ দিতে আগ্রহী বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশ। তবে সদস্য পদ দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি তুলেছে ভারত ও ব্রাজিল। ফলে ব্রিকসের সদস্য পদ এখনও নিশ্চিত নয় বাংলাদেশের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল মোমেন বলেন, বিষয়টি আমরাও শুনেছি। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিকসের উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন। এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা। তখন ধারণা ছিল, তারা নতুন কিছু দেশকে এর সদস্য করবে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন শক্তিশালী অর্থনীতির আরও কয়েকটি দেশকে সদস্য করতে চাই। বাংলাদেশ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কাদের সদস্য করতে চায়। তখন জানিয়ে ছিল সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো।

তিনি বলেন, ব্রিকসের সদস্য পদ পাওয়া এর সদস্যদের ওপর নির্ভর করে। দক্ষিণ আফ্রিকা, চীনসহ তিনটি দেশ চাচ্ছে নতুন সদস্য নিতে। আর ভারত ও ব্রাজিল বলছে সদস্য পদ দেওয়ার আগে একটি নিয়ম তৈরি হোক। এটি ব্রিকসের সদস্যদের বিতর্ক। ব্রিকস যখন সদস্য পদ দেয়, তখন দেবে। সদস্য পদের জন্য ভারতে কোনো অনুরোধ করা হবে কিনা– জানতে চাইলে এর সরাসরি কোনো উত্তর দেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ব্রিকস সম্মেলনে সাইড লাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে তিনি বলেন, এটি আমরা চিন্তা–ভাবনা করছি। কারণ, সেপ্টেম্বরের ৯–১০ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক চেয়েছি এবং তারা দিয়েছে। দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে ভালো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। দক্ষিণ আফ্রিকাতে আমরা আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে পরিচয়ের সুযোগ হবে।

শেয়ার করুন