ভুলের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে

মোনায়েম সরকার

মোনায়েম সরকার
মোনায়েম সরকার। ফাইল ছবি

এই লেখাটি লিখছি ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক বর্বরতম অধ্যায় রচিত হয়েছিল। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্য জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। নেতারা মানবঢাল রচনা করায় শেখ হাসিনা সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেও আইভী রহমানসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

কয়েকশ’ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার এক ভয়াবহ নজির স্থাপন করেছিল সে সময় ক্ষমতাসীন বিএনপি। আজ গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপি-জামায়াতসহ অন্য সব গণবিচ্ছিন্ন দল আন্দোলনের নামে নতুন করে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে বললে কি বাড়িয়ে বলা হবে?

আজ দুঃখভারাক্রান্ত মনে কিছু বিষয় তুলে ধরা প্রয়োজন বলে মনে করছি। ক্ষমতার উৎস কী বন্দুকের নল, না জনগণ- এই প্রশ্নটির মীমাংসা মনে হয় খুব সহজ নয়। চীন বিপ্লবের নেতা মাও সে তুং-এর একটি বিখ্যাত উক্তি ছিলো ‘বন্দুকের নলই সকল ক্ষমতার উৎস’। এই উক্তিটিকে বেদবাক্য জ্ঞান করে গত শতকের ’৬০-’৭০-এর দশকে ভারত ও পাকিস্তানসহ উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশে দেশে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্ররা পর্যন্ত বলপ্রয়োগের মাধ্যমে অর্থাৎ সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র কায়েমের পথ হিসাবে বেছে নিয়েছিলো। চারু মজুমদার ও কানু সান্যালের নেতৃত্বে নক্সালবাড়ির সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন ভারত সরকারকে নাজেহাল করে তুলেছিল।

এই আন্দোলনকে বলপ্রয়োগ করে দমন করতে গিয়ে হাজার হাজার তরুণকে নির্মমভাবে খুন করা হয়। আমাদের দেশেও সিরাজ শিকদার, আবদুল হক প্রমুখ নেতা অনেক তরুণকে মাও সে তুং-এর মতবাদে দীক্ষিত করে অকালে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেন। তাদের স্লোগান ছিলো ‘চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান’, ‘সর্বহারার বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক’, ‘বন্দুকের নলই সকল ক্ষমতার উৎস’ ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু ওই সব বিপ্লবীদের পথ যে ভুল ছিলো তা কালের প্রেক্ষাপটে আজ প্রমাণিত।

খোদ চীন দেশে সংস্কৃতি বিপ্লবের নামে অতি বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের ফলে মাও সে তুং স্বয়ং পরিত্যক্ত হয়েছেন এবং নতুন নেতা দেং শিয়াং পিং-এর অর্থনৈতিক নীতি ও কৌশল অবলম্বন করে চীন আজ বিশ্বের এক বড় অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ তার জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিণত করেছে। যারা সশস্ত্র বিপ্লবের আদর্শে জীবন দিয়েছেন, তাদের সততা ও নিষ্ঠার অভাব ছিলো না; কিন্তু তাদের সশস্ত্র বিপ্লবের পথটি ছিলো ভুল।

কিউবা বিপ্লবের অন্যতম নায়ক ছিলেন এর্নেস্তো চে গুয়েভারা। কিউবা বিপ্লবের পর সেখানে তিনি কিছুদিন মন্ত্রীত্বও করেছেন। জনশ্রুতি আছে একসময়ে ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেন। লাতিন আমেরিকার দেশে দেশে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী কৃষক, শ্রমিকদের সংগ্রামকে সশস্ত্র সংগ্রামে রূপান্তর করে বিজয় অর্জনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। এক পর্যায়ে বলিভিয়ার জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে সশস্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মদদপুষ্ট স্বৈরাচারী শাসক রেনে বারিয়েনতেসের বিরুদ্ধে বলিভিয়ার নিষ্পেষিত কৃষক-শ্রমিকের পক্ষে গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে শত্রুদের হাতে বন্দি হন।

চে গুয়েভারা বন্দি অবস্থায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি ছিলেন একজন স্বাপ্নিক বিপ্লবী। দেশে দেশে বিপ্লব ঘটানোর জন্য তিনি কাজ করে গেছেন। আজেন্টিনায় জন্মগ্রহণকারী এই বিপ্লবী সমগ্র লাতিন আমেরিকাকেই নিজের দেশ বলে গণ্য করতেন। আজও লাতিন আমেরিকার দেশে দেশে মৃত চে গুয়েভারা জীবন্ত চে-এর চেয়ে কম শক্তিশালী ও শ্রদ্ধেয় নন। কিন্তু বন্দুকের নল লাতিন আমেরিকার বিপ্লব সফল করতে পারেনি।

বরং নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত লাতিন আমেরিকার ভেনেজুয়েলা, ব্রাজিল, উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা, চিলি, বলিভিয়া প্রভৃতি দেশের সরকারগুলো এক সময় রাষ্ট্রীয় খাতকে প্রাধান্য দিয়ে সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হওয়ার কথা ভাবত। তারা সাম্রাজ্যবাদী অর্থনীতির বিরুদ্ধে এই দেশগুলোকে নিয়ে একটি সম ন্যায়ভিত্তিক ও শোষণহীন বিকল্প অর্থনৈতিক জোট গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে পারস্পরিক সাহায্য সহায়তার ভিত্তিতে অগ্রসর হচ্ছিল।

আর এক ধরনের সশস্ত্র অভ্যুত্থানের সঙ্গে আমরা পরিচিত হই উপমহাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নকামী দেশগুলোতে। তা হচ্ছে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল। এটাকেও কোনো কোনো সামরিক স্বৈরশাসক বিপ্লব বলে আখ্যায়িত করে তৃপ্তি অনুভব করতেন। ৫০-এর দশক থেকে ৭০-এর দশক পর্যন্ত সাম্রাজ্যবাদ বিশেষ করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এই সব দেশে জনগণের নির্বাচিত জাতীয়তাবাদী জনপ্রিয় নেতাদের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত বা হত্যা করে, তাবেদার সরকার প্রতিষ্ঠা করার কৌশল হিসাবে এই পন্থা অনুসরণ করতো। ১৯৫৮-এর অক্টোবর মাসে পাকিস্তানে জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে একে ‘অক্টোবর বিপ্লব’ নামে আখ্যায়িত করেছিলেন। এই আইয়ুব খান দীর্ঘ দশটি বছর বন্দুকের সাহায্যে দোর্দণ্ড প্রতাপে পাকিস্তান শাসন করে গেছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি।

জনগণের তীব্র আন্দোলন ’৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিলে তিনি এক প্রহসনের গোলটেবিল বৈঠকের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তা সফল হয়নি। তারই উত্তরসূরী আরেক জেনারেল ইয়াহিয়া খান কর্তৃক তিনি গদিচ্যুত হন। ইয়াহিয়া খানও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি মাথায় নিয়ে আরেক সামরিক বাহিনীর ক্রীড়নক জুলফিকার আলী ভুট্টো কর্তৃক গদিচ্যুত হন। এই ভুট্টোকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে হত্যা করেন তারই এক স্নেহভাজন জেনারেল জিয়াউল হক।

এই জিয়াউল হকের নির্মমতা ও গণবিরোধী কার্যকলাপ সর্বজনবিদিত। তাকেও জীবন দিতে হয় রহস্যজনক এক বিমান দুর্ঘটনায়। ধ্বংসাবশেষ থেকে তার দু’টি সোনায় বাঁধানো দাঁত এবং দু’টি সোল্ডার ব্যাজ ছাড়া কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে তৎকালীন বিভিন্ন সংবাদপত্র ও প্রচারমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিলো। বন্দুকের নল যে কোনো স্বৈরাচারকে কোনো কালেই রক্ষা করতে পারে না তার ভূরি ভূরি নজির আমাদের কালেই আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।

তারপরেও ‘ইতিহাস থেকে কেউ যে শিক্ষা গ্রহণ করেন না এটিই ইতিহাসের বড় শিক্ষা’ বার বার এর প্রমাণ আমরা দেখতে পাচ্ছি। পাকিস্তানের ৭৬ বছরের ইতিহাসে অধিকাংশ সময়েই বন্দুকের নল দেশটিকে শাসন করে এসেছে এবং আজও সামরিক বাহিনীর ছায়াতলে সে দেশে নামমাত্র বেসামরিক শাসন চলছে। এককেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ তাদের পুরানো কৌশল পরিবর্তন করলেও বিশেষ বিশেষ কারণে কোনো কোনো দেশকে ছাড় দিয়ে থাকে।

আমরা বাঙালিরা রাজনৈতিকভাবে বৃটিশ ধারার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। পাকিস্তানের ২৩ বছর আমরা বেশিরভাগ সময় সামরিক শাসনে শাসিত হয়ে আসছিলাম। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রতি বাঙালির আজনন্ম ভালোবাসা আর পাকিস্তানে সামরিক শাসক বিশেষ করে পাঞ্জাবি শাসক গোষ্ঠীর অত্যাচার, নিপীড়ন আর শাসন, শোষণ আমাদেরকে এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছিলো। এই লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে শাসক গোষ্ঠী ও সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে একটি রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা দেশকে স্বাধীন করেছি। আমাদের আকাক্সক্ষা ছিলো বাংলাদেশ হবে একটি সাম্প্রদায়িকতামুক্ত গণতান্ত্রিক দেশ।

সে লক্ষ্যে একটি সংবিধানও আমরা রচনা করেছিলাম স্বল্পতম সময়ের মধ্যে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমরা পাকিস্তানকে ছাড়লেও পাকিস্তান আমাদের ছাড়তে চাচ্ছে না। স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় বন্দুক আবার বাংলাদেশে ক্ষমতার উৎস হয়ে উঠলো। স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী নেতৃবৃন্দকে বন্দুকের সাহায্যে উৎখাত করে সেনা শাসন আবার আমাদের নিয়তিতে পরিণত হলো।

এই সামরিক অভ্যুত্থানে জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নেপথ্যে থাকলেও কিছু দিনের মধ্যেই জিয়া প্রকাশ্য অবস্থান নিয়ে টানা ৭ বছর স্বৈরাচারী শাসন পরিচালনা এবং সংবিধানের খোল নলচে পাল্টিয়ে আবার পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িক ও অগণতান্ত্রিক রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ী বাংলাদেশে পুনরায় প্রচলন করলেন জিয়াউর রহমান।

যে পরাজিত সাম্প্রদায়িক ও ধর্মব্যবসায়ী দলগুলো নিষিদ্ধ ছিলো সেগুলোকে আবার অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখালেন জেনারেল জিয়া। পুনরায় আমরা পাকিস্তানি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে প্রবেশ করলাম। অবশেষে এক রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনা বিদ্রোহে সামরিক শাসক জিয়াও নিহত হলেন। আতাতারীরা জিয়ার মুখমণ্ডল ও দেহকে বন্দুকের গুলিতে এমনভাবে ঝাঁজরা করে দেয় যে তাকে সনাক্ত করা পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। মৃত্যুর পরে ঢাকায় ঘটা করে তার লাশ জানাজা দিলেও কাউকে লাশের মুখ দেখতে দেওয়া হয়নি।

এমনকি তার পরিবার বিশেষ করে স্ত্রী খালেদা জিয়াও লাশের মুখ দেখতে পারেননি। বাংলাদেশে সেনা শাসনের প্রকাশ্য উদ্যোক্তা বাংলার মীরজাফর বলে খ্যাত খন্দকার মুশতাক আহমদের লাশ তার আত্মীয় ও সমর্থকরা ঢাকায় জানাজা দিতে সাহস করেননি। পরবর্তী সময়ে যিনি ক্ষমতার রঙ্গমঞ্চে অবির্ভূত হন সেই জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বন্দুক দিয়ে বৃদ্ধ রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করেন। তিনিও দোর্দন্ড প্রতাপে প্রায় ১০ বছর দেশ শাসন করেন।

রাষ্ট্রীয় কোষাগার ব্যবহার করে বিভিন্ন দল-ভাঙ্গা, দলছুটদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে একই পাকিস্তানি কায়নায় দেশ শাসন করেন। স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদ নব্বইয়ের ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং তার স্থান হয় কারাগারে । গণআন্দোলন দমন করার জন্য এরশাদের নির্দেশ বন্দুকধারী সেনাবাহিনী অমান্য করায় এরশাদ ক্ষমতা ত্যাগে বাধ্য হন।

বাংলাদেশের আজকের দুর্বৃত্তায়িত ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য ঢালাওভাবে রাজনৈতিক নেতাদের দোষারোপ করা হলেও এর জন্য সেনাশাসক জিয়া-এরশাদের শাসনামল মুখ্যত দায়ী। দেশে সত্যিকারভাবে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার কথা এখন বিভিন্ন মহল থেকে উচ্চারিত হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। কিন্তু এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় নেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা সেখানে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ানোয় তাকে সরানোর চক্রান্ত চলছে। যদি আমেরিকা পশ্চিমা বিশ্বের কারসাজিতে ক্ষমতা থেকে শেখ হাসিনাকে সরে যেতে হয়, তাহলে আবার ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে। যে আশা-আকাঙক্ষা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিলো সে লক্ষ্যে আমরা কখনো পৌঁছুতে পারবো না। দেশ ও জনগণ যে তিমিরে ছিলো সে তিমিরেই থেকে যাবে।

আমরা আশা করবো, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার দল পুনরায় নির্বাচিত হবে এবং শেখ হাসিনাই পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর আসন গ্রহণ করবেন।

২১ আগস্ট, ২০২৩
লেখক: রাজনীতিক, লেখক ও মহাপরিচালক, বিএফডিআর।

শেয়ার করুন