চলতি মাসের শেষে কিংবা আগামী মাসের (অক্টোবর) মধ্যেই তুরস্ক থেকে আনা হচ্ছে ২ লাখ রাবার বুলেট। গত (আগস্ট) মাসেও একই দেশ থেকে ১০ হাজার রাবার বুলেট আনা হয়েছিল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এ মাসের শেষেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ তিন জনের তুরস্ক সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সংঘাত ও সহিংসতা মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে বাড়তি প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে মিছিল-মিটিং করছে। এ সুযোগে কোনও পক্ষ সহিংসতায় জড়িয়ে পড়তে পারে। সবকিছু মাথায় রেখেই সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানান রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে, যাতে জীবনহানি না ঘটে ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হয়।
বড় ধরনের দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঠেকাতে সবসময়ই টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যে কারণে তুরস্ক থেকে নির্বাচনের আগে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট আনা হচ্ছে। এবার আনা হবে ১২ বোরের শটগানের দুই লাখ রাবার বুলেট বা কার্টিজ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জাহিদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত চিঠির তথ্য অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপারেশন্স বিভাগের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ও পুলিশ সুপার দেওয়ান জালাল উদ্দিন চৌধুরী এ মাসের শেষ নাগাদ তুরস্ক সফরে যাবেন। ২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের তিন দিনের ওই সফরে এসব কর্মকর্তা সেখানকার কারখানা পরিদর্শন ও কার্টিজ পরীক্ষা করে দেখবেন। এরপরই স্বল্প সময়ে সেগুলো বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে দূরবর্তী টার্গেটকে প্রতিরোধ করতে ‘লং রেঞ্জে’র ৯০ হাজার টিয়ার গ্যাস শেল আনার জন্য তুরস্কে গেছেন পুলিশের তিন কর্মকর্তা। সেসব টিয়ারশেলও এ মাসেই নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানা গেছে।