প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নবনির্মিত এগারোটি রাস্তাসহ ১৩ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ শুক্রবার সকালে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনকৃত প্রকল্প গুলো হল:
১) হরষপুর জিসি-আমতলি NHW রাস্তার মেরামত।
২) পত্তন ইউনিয়নে আদমপুর ঈদগাহ- ফ্লাড সেল্টার রাস্তার উন্নয়ন।
৩) পাহাড়পুর ইউপি-পাহাড়পুর বাজার রাস্তা মেরামত।
৪) সিংগারবিল-নলঘড়িয়া রাস্তা মেরামত।
৫) বুধন্তী ইউনিয়নে ইসলামপুর শফিকুল ইসলাম কলেজ-ইসলামপুর গ্রামীণ রাস্তা ভায়া মোশারফ সাহেবের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত।
৬) বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে দুলালপুর-ইকতরতলী রাস্তা ভায়া মহেষপুর পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন।
৭) হরষপুর জিসি-আমতলী NHW হইতে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জাফরুল্লাহ খান রাস্তার উন্নয়ন।
৮) পত্তন ইউনিয়নে মোয়াল্লেমের বাড়ি-আদমপুর UZR হইতে হাবিবুর রহমানের বাড়ির রাস্তার উন্নয়ন।
৯) চম্পকনগর ইউপি-কালাছরা ইউপি ইহতে টি গার্ডেন রাস্তার উন্নয়ন।
১০) পাহাড়পুর খাটিঙ্গা মোড় মসজি-চানপুর রেল লাইনের নিকট মসজিদের রাস্তার উন্নয়ন।
১১) সিংগারবিল বালিয়াজুড়ী-নোয়াবাদী রাস্তার উন্নয়ন।
১২) বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের পুকুর উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বর্ধন।
১৩) হরষপুর জিসি-আমতলী (NHW) রাস্তার আরসিসি গার্ডার ব্রীজ পুনর্বাসন।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আমাদের কিছু রাস্তার কাজ ঠিকাদারদের দুর্বলতার কারণে এখনও সম্পন্ন হয়নি। কিন্তু কাজ চলমান আছে, ইনশাআল্লাহ দ্রুতই এগুলো সম্পন্ন হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা সড়কের মূল কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে। এখন সবাই এই রাস্তা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারেন। কেউ অসুস্থ হলে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছা যায়।
তিনি বলেন, আমার দুঃখ হয় তখন, যখন শিক্ষিত লোকেরা মূর্খের মতো কথা বলে। যেমন একজন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার নামে সড়ক নয়, মহাসড়কের নাম হওয়া উচিত। ওনি খুব শিক্ষিত লোক বলে আমি জানি, কিন্তু এই কথা দ্বারা তিনি শিক্ষিত লোকের পরিচয় দেননি।’ কেননা তিনি জানেনই না যে, কোনো ব্যক্তির নামে মহাসড়ক, এমনকি আঞ্চলিক সড়কেরও কোনো নামকরণ হয় না। যেমন ঢাকা টু সিলেট মহাসড়ক এন-২ সাংকেতিক চিহ্ন দ্বারা পরিচিত। এরজন্য আমি তো তাকে মুর্খ বলতে পারি না, কেননা আমি জানি, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া লেখা করেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, শেখ হাসিনা সড়ক দিয়ে পায়ে হাটারও নাকি অবস্থা নেই! আমি এটার উত্তর দিবো না, কারণ আপনারা যারা শেখ হাসিনা সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন শহরে যাওয়া-আসা করেন তারা সেটি ভালো করেই জানেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা সড়কটি হচ্ছে জেলা সদরের সঙ্গে বিজয়নগর উপজেলার সরাসরি সংযোগের একমাত্র সড়ক। এটি বিজয়নগরের মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এই সড়ক নির্মাণের পূর্বে তাদেরকে জেলা সদরের যাওয়ার জন্য আখাউড়া অথবা সরাইল উপজেলার রাস্তা ব্যবহার করতে হতো। এই রাস্তাটির নাম শেখ হাসিনা সড়ক রাখা হয়েছে এইজন্য যে, এখানকার প্রজন্মের পর প্রজন্ম নামটি শুনেই অন্তত জানতে পারবে, রাস্তাটি জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নির্মাণ করা হয়েছিল।
এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, হাজি হেলাল উদ্দিন, বিজয়নগর উপজেলা ভাইস চয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
এছাড়াও এদিন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যাক্তিদে মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন র আ ম উবায়দুল মোকতাদির এমপি।