ভারতের প্রচার মাধ্যমে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৪৫ নাগাদ রটে যায় নোবেল পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন মারা গেছেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি প্রায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার পাঠক ও দর্শক দুঃখ প্রকাশ করতে শুরু করেন, কেউ কেউ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে নানা সময়ে তাদের কাজ, যোগাযোগ ও সান্নিধ্য পাওয়ার খবরও বলেন ফেসবুকের পাতায়। কিন্তু মিনিট কয়েকের মধ্যে জানা যায় যে, খবরটি ভুয়া।
অমর্ত্য সেনের প্রতিষ্ঠান প্রতীচী ইনস্টিটিউটের জাতীয় গবেষণা সমন্বয়ক সাবির আহমেদ আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেন, খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়া। এই রকম কিছুই ঘটেনি। আমি অল্ট নিউজ সংস্থার প্রতীক সিনহার (ভারতের অন্যতম প্রধান ফ্যাক্ট চেকার বা তথ্যের সত্যতা যাচাইকারী) সঙ্গে কথা বললাম। উনি জানালেন, ভুয়া খবরটি একটি এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়িয়েছে।
প্রতীক সিনহা বলেন, কিছুদিন আগে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ক্লডিয়া গোলডিন নাম দিয়ে খোলা একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে খবরটি ছড়ায়। এই ভুয়া অ্যাকাউন্টে লেখা ছিল, মর্মান্তিক সংবাদ। আমার অত্যন্ত কাছের অধ্যাপক অমর্ত্য সেন কয়েক মিনিট আগে মারা গেছেন। কিছু বলার ভাষা নেই। প্রতীক সিনহা বলেন, আমি অমর্ত্য সেনের মেয়ের সঙ্গে কয়েক মিনিট আগে কথা বললাম। খবরটি ভিত্তিহীন বলে ওনার মেয়েও জানিয়েছেন।
এর কিছু পরে অমর্ত্য সেনের দুই মেয়ে অন্তরা এবং নন্দনা দেবসেন ভারতীয় প্রচারমাধ্যমকে জানান যে, খবরটি ভুয়া। অবশেষে সবাই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন, বিশেষত দুই বাংলার বাঙালিরা।
নন্দনা দেবসেন তার এক্স অ্যাকাউন্টে বাবার সঙ্গের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, বন্ধুরা, আপনাদের উদ্বেগের জন্য ধন্যবাদ; কিন্তু সংবাদটি ভুয়া। বাবা, ভালো আছেন। কেমব্রিজে আমরা দারুণ একটা সপ্তাহ কাটালাম। গতকাল তাঁকে বিদায় জানানোর সময়ও বাবা আগের মতোই আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন। এক সপ্তাহে তিনি হার্ভার্ডে দুটি কোর্স নিয়েছেন, তাঁর বই নিয়ে কাজ করছেন—আগের মতোই ব্যস্ত আছেন তিনি।