হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজী হককে ‘সময়োপযোগী পরিস্থিতিতে’ আটক করা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। আদম তমিজীর বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলা ছাড়াও আরও মামলা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করতে গুলশানের বাসায় গিয়েছিল র্যাব।
র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, আদম তমিজীর বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা ও তার (তমিজী) স্ত্রীর করা মামলাসহ আরও মামলা রয়েছে। তার বাসায় অভিযানের তল্লাশি পরোয়ানা রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সব নিয়ম মেনেই আমরা তাকে আইনের আওতায় আনতে তার বাসায় যাই। বৃহস্পতিবার র্যাব কর্মকর্তারা নিয়ম মেনেই ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসকসহ সেখানে অভিযানে যান। সেখানে তিনি বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটান। এমন পরিস্থিতি এড়াতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে অভিযান চলমান আছে, ‘সময়োপযোগী পরিস্থিতিতে’ তাকে আটক করা হবে।
খন্দকার মঈন আরও বলেন, তার বাসায় একজন ইউকে (যুক্তরাজ্য) নাগরিক ছিলেন, চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন। সব নিয়ম মেনেই আমরা গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা করি। কিন্তু একপর্যায়ে তিনি ছুরি নিয়ে সুইসাইড (আত্মহত্যা করার হুমকি দেন, জানালার গ্লাস (কাচ) ভেঙে ফেলেন, এক পা বাইরে দিয়ে লাফ দেওয়ার হুমকি দেন। পরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
র্যাব পরিচালক বলেন, আমরা স্বাভাবিকভাবে তাকে গ্রেপ্তার করতে চাই। তিনি একেকবার একেক কথা বলছিলেন। এর আগে তিনি তার কারখানার সব শ্রমিককে ডেকে এনে আটকে রেখেছিলেন। এরপর বাসার প্রধান ফটক ঝালাই করে দিয়েছেন, যাতে কেউ বের হতে না পারে। এমনকি শ্রমিকেরা বের হতে গেলে তাদেরও আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। পরে আমরা তার বাসায় গেলে শ্রমিকেরা বেরিয়ে যান। আমরা স্বাভাবিক ও সুস্থভাবে তাকে আইনের আওতায় আনতে চাই।
১৫ নভেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান বাদী হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নামে কটূক্তির অভিযোগে তমিজীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।