শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচনের তাগিদ বিশিষ্ট নাগরিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশন ভবন
ফাইল ছবি

দেশের উন্নয়নের অগ্রগতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখরভাবে অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা। তারা বলছেন, এই নির্বাচনের ওপরে দেশের ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রা নির্ভর করছে। তাই সব বাধাবিপত্তি, ভয়ভীতি উপেক্ষা করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেছেন তাঁরা।

বৃহস্পতিবার ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জনপ্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নাগরিকেরা এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন–উত্তর দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা হবে নতুন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দুষ্টচক্র দমন করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উন্নয়ন-অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব ধরনের নাশকতার আশঙ্কা ও ভয়ভীতিকে অতিক্রম করে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সম্মিলিতভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতা থেকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি সুশাসনের জন্য সঠিক মানুষকে সঠিক জায়গায় বসাতে হবে বলে মনে করেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আওয়ামী লীগের ইশতেহারে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে অঙ্গীকার রয়েছে, সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, নির্বাচিত সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকলে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উন্নয়নের অভিযাত্রা এগিয়ে নেওয়া সরকারের জন্য সহজ হবে।

৭ জানুয়ারি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্কভাবে দায়িত্ব পালন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল।

অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর হত্যা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে বিভাজন ও অনাস্থা সৃষ্টি করেছে, সেটির সুযোগ নিচ্ছে বিদেশিরা। নির্বাচন প্রতিরোধ করার ঘোষণা দেওয়া দলগুলো যাতে নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে না পারে, সেদিকে সর্বাত্মক নজর রাখতে হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য রাশিদ আসকারী, সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সাধারণ সম্পাদক ম. হামিদ, সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, মোজাম্মেল বাবু, নঈম নিজাম ও আশীষ সৈকত, ডা. নুজহাত চৌধুরী, মো. আবদুল হান্নান, জাহাঙ্গীর আলম, এ কে এম হামিদ, নেসার হোসেন প্রমুখ।

শেয়ার করুন