সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে এবার সিগারেট কোম্পানির ভ্যান গাড়ির চালককে রাস্তায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার দুপুরে নগরীর চৌহাট্টা এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িতে বসে রুবেল নামের এক ভ্যান চালককে লাঠি দিয়ে মারেন মেয়র আরিফ।
এই ঘটনার ছবি সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নগরবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে কারো শরীরে হাত তোলার অধিকার মেয়রের নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নগরীতে মেয়র আরিফ ও সিসিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে হকার ও শ্রমজীবীকে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে নগরীর জিন্দাবাজার থেকে চৌহাট্টার দিকে মেয়র আরিফের গাড়ি যাচ্ছিল। চৌহাট্টায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সামনে সিগারেট কোম্পানির ভ্যানগাড়ির চালক রাস্তার পাশের দোকানে সিগারেট ডেলিভারি দিতে যান। ভ্যানগাড়ি পার্কিং দেখে মেয়র আরিফ গাড়ি থামিয়ে ভ্যানচালককে ডেকে নেন। এ সময় মেয়রের গাড়ির পাশে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিসিক কর্মীও লাঠি হাতে অবস্থান নেন।
মেয়র আরিফ নিজের গাড়িতে বসে লাঠি বের করে ভ্যান চালকের হাতে আঘাত করেন। পার্কিংয়ের জন্য তাকে শাসিয়ে দেন। এই ঘটনার সময় মেয়রের গাড়ি বহরে থাকা আনসারের সদস্যও পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এদিকে কয়েক গজ সামনে আরেকটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারসহ রাস্তার পাশে আরও অনেক ব্যক্তিগত গাড়ি অবৈধভাবে পার্কিং করা থাকলেও তাদেরকে কোনো কথা না বলে মেয়র আরিফ চলে যান।
যোগাযোগ করলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, কেউ যতো বড় অপরাধীই হোক, কারো গায়ে হাত তোলার সুযোগ নেই। এটা পরিষ্কার মানবাধিকার লঙ্ঘন, বেআইনি কাজ। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি কারো গায়ে হাত তুলতে পারেন না।
এ ব্যাপারে আরিফুল হক চৌধুরীর বক্তব্য জানতে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি মোবাইল কল ধরেননি।