মেট্রোরেল উদ্বোধনের দিন স্থানীয়দের মেনে চলতে হবে যেসব শর্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেট্রোরেল
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের (উত্তরা-আগারগাঁও অংশ) উদ্বোধন করবেন। এই উদ্বোধনের দিনকে কেন্দ্র করে যেসব থানা এলাকায় মেট্রোরেল পড়েছে সেসব এলাকার বাসিন্দাদের এবং অফিস, আবাসিক হোটেল কেন্দ্র করে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যা উদ্বোধনের দিন ২৮ ডিসেম্বর আগের রাত থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত যেসব থানা পড়েছে, সেসব এলাকার বাসিন্দাদের কারও বৈধ অস্ত্র থাকলে তা ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে।

এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পারভেজ ইসলাম বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বলেন, মেট্রোরেলের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক দফা শর্ত দেওয়া হয়েছে বাসিন্দা এবং অফিস, আবাসিক হোটেল ঘিরে। উদ্বোধনের সময় এবং আগে পরে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই আগে থেকেই এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, নগরবাসী উৎসব উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মেট্রোরেলের উদ্বোধনের বিষয়টি অবলোকন করবেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবাই কাজ করবেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে:

১. কোনও ভবন, বিল্ডিং বা ফ্ল্যাটে আগামী ২৯ ডিসেম্বরের আগে নতুন কোনও ভাড়াটিয়া উঠতে পারবেন না।
২. কোনও ভবনের কমার্শিয়াল স্পেসে আগামী ২৮ ডিসেম্বর নতুন কোনও অফিস, দোকান, রেস্টুরেন্ট খোলা যাবে না।
৩. ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল সংলগ্ন কোনও ভবনের বেলকনিতে, ছাদে কাপড় শুকাতে দেওয়া যাবে না এবং কেউ দাঁড়াতে পারবেন না।
৪. ওইসব এলাকার ভবন, বিল্ডিং বা ফ্ল্যাটে ওইদিন কোনও ছবি বা ফেস্টুন লাগানো যাবে না।
৫. মেট্রোরেল সংলগ্ন কোনও ভবনের কমার্শিয়াল স্পেসে বা আবাসিক হোটেলে ২৮ ডিসেম্বর কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
৬. ওই এলাকার কোনও ভবন বা ফ্ল্যাটে যদি কোনও বৈধ অস্ত্র থাকে, তা ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে থানায় জমা দিতে হবে।
৭. মেট্রোরেলের দুই পাশের সব ব্যাংক বা এটিএম বুথ ২৮ ডিসেম্বর সকাল থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন। পরদিন যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে মেট্রোরেল।

শেয়ার করুন