চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কমেছে। আগস্টের ২৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ১৩২ কোটি ডলার। এর মানে ব্যাংকিং চ্যানেলে দৈনিক গড়ে ৫ কোটি ২৯ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আগের বছরের একই মাস ও আগের মাসের তুলনায় যা অনেক কম।
চলতি মাসের ২৫ দিনে যে রেমিট্যান্স এসেছে, বাকি ছয়দিনে একই হারে রেমিট্যান্স এলে মোট পরিমাণ দাঁড়াবে ১৬৪ কোটি ডলার। আগের বছরের একই মাস আগস্টে রেমিট্যান্স আসে ২০৪ কোটি ডলার। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ১৯৭ কোটি ডলার। অবশ্য জুলাই মাসের রেমিট্যান্সও ছিল আগের বছরের একই মাসের ২১০ কোটি ডলারের চেয়ে কম।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আমদানির আড়ালে অর্থ পাচার ঠেকাতে এলসিতে কড়াকড়ি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন পাচারকারীদের বড় উৎস হয়ে উঠেছে হুন্ডি। বর্তমানে রেমিট্যান্স পেতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত ১০৯ টাকার বেশি দর দিচ্ছে অনেক ব্যাংক। এরপরও হুন্ডিতে ব্যাপক চাহিদার কারণে আশানুরূপ রেমিট্যান্স পাচ্ছে না। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে রেকর্ড পরিমাণ জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে।
বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে আমদানি কমানো হচ্ছে। গত অর্থবছরে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বেড়েছে। এরপরও বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে সংকট কাটছে না। এই সংকটের অন্যতম কারণ হলো করোনার মধ্যে সস্তায় নেওয়া বিদেশি ঋণ পরিশোধ ব্যাপক বেড়েছে। আবার নানা কারণে নতুন ঋণ আসছে কম। বাজার ঠিক রাখতে চলতি অর্থবছরে এরই মধ্যে আরও দুই বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত অর্থবছরে বিক্রি করা হয় রেকর্ড ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। এভাবে ডলার বিক্রির ফলে ধারাবাহিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৩ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। ২০২১ সালের আগস্টে যা সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল।