নতুন ধানের চাল বাজারে আসলেও দাম আছে আগের মতোই। আড়তদার আর মিল মালিকরা দায় চাপাচ্ছেন একে অন্যের ওপর। ভোক্তাদের দাবি বাজার তদরাকির।
ধান ফলিয়ে মেলেনি ন্যায্য মূল্য। চাপা কান্নায় বুক ভারী কৃষকের। ধানের উৎপাদন খরচও উঠেনি। করছেন প্রতিবাদ।
ধানের দাম কম। নতুন চালের দাম কম হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু বাজারে মিললো উল্টো চিত্র। নতুন ধানের মিনিকেট, বিআর-আটাশ এবং বিআর-ঊনত্রিশ চাল বিক্রি হচ্ছে মাস দুয়েক আগের দামেই।
পাইকারি বাজারে নতুন মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪২ টাকা, বিআর আটাশ চাল ৩৪ টাকা, বিআর-২৯ চাল ৩২ টাকা। খুচরা বাজারে এসব চালের দাম কেজি প্রতি দশ টাকা বেশিও বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য চালও আছে মাস দুয়েক আগের দামেই।
আড়তদাররা বলছেন, চালকল মালিকদের খেয়াল খুশির উপর চলছে চালের দাম। চালের আড়তদার শামসুজ্জামান বলেন, ‘লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি কেজি ধান স্টক করে রাখা হয়েছে পরে বিক্রির জন্য। এর সিন্ডিকেট কোন যায়গায় আছে, সেই গন্ধ হয়তো আপনারা পাবেন।‘
ওমর ফারুক নামে আরেক আড়তদার বলেন, ‘যারা বড় বড় মিলার তারা বাজার বাড়ালে সব কোম্পানিই বাজার বাড়িয়ে দেয়। সব সিন্ডিকেট ওদের মধ্যে।’
এদিকে, চালকল মালিকদের সংগঠন অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম খোরশেদ আলম খান বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রনে একটি শক্তিশালী চক্রের কথা। তিনি বলেন, ‘কারা সিন্ডিকেট, মন্ত্রণালয় গুলো ভালোভাবেই জানে তারা কারা। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো বন্যবস্থা নিতে পারছে না বা নিচ্ছে না।’ এর পেছনে রহস্য আছে বলেও মনে করেন তিনি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর তদারকি নিশ্চিত হলে কমবে ধান আর চালের দামের ব্যবধান।