সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আলোচিত শিশু তুহিন হত্যায় আজ সোমবার আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। এতে তুহিনের বাবা, চাচাসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মিজান পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে কারা, কীভাবে খুন করে তার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
পুলিশ সুপার জানান, খুন করার উদ্দেশ্যে বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে কোলে করে নিয়ে আসেন। পরে চাচারাসহ পাঁচজন নৃশংসভাবে খুন করে।
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তারা এমন হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে পুলিশ সুপার জানান।
গত ১৪ অক্টোবর রাতে দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে খুন করে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তুহিনের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ রাস্তায় ফেলে রাখা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, তুহিনের বাবা ও একই গ্রামের আনোয়ার মেম্বারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। পূর্বের একটি হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তুহিনের বাবার পরিকল্পনায় চাচা ও চাচাত ভাইয়েরা হত্যাকাণ্ড ঘটায়। খুনিরা মানুষের সমবেদনা পেতে তুহিনকে খুনের পর তার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে রাস্তায় ফেলে রাখে।
চাচাত ভাই শাহারুলের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তার অভিযোগপত্র শিশু আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
খুনের পর পুলিশ তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মছব্বির, জমশেদ মিয়া, নাছিরসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করে। পরে বাবা, চাচা ও চাচাত ভাইকে কয়েক দফা রিমান্ডে নেয়া হয়। এদের দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।