ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বিএনপি হতাশায় ভুগছে। এজন্য দলটির নেতারা এখন আবোল-তাবোল বকছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যারা নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ না তারা জনগণকে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করবে এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি। তবে সরকারি দলের এই মুখপাত্র জানান, তারা শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য একটি শক্তিশালী বিরোধী দল চান।
শুক্রবার বিকালে শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সাথে এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার খালেদা জিয়ার জেলে যাওয়ার দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আওয়ামী লীগ কীভাবে দেখছে? এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সাম্প্রতিককালে রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহমান। এই মুক্তিযুদ্ধের দেশে সাম্প্রদায়িক ধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার রাজনীতি চলবে না।
শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য বিএনপিকে শক্তিশালী দল হিসেবে দেখতে চান জানিয়ে কাদের বলেন, কিন্তু তাদের ব্যর্থ নেতৃত্ব আর নেতিবাচক রাজনীতির কারণে ক্রমাগত জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। সিটি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বিএনপির নেতারা এলোমেলো বক্তব্য দিচ্ছেন।
নিজেদের সাংগঠনিক বিষয়ে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কমিটি দপ্তরে ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। আর যেসব জেলার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের এপ্রিলের মধ্যে সম্মেলন শেষ করতে বলা হয়েছে। শনিবার বিকাল চারটায় ঢাকা মহানগরের নবনির্বাচিত মেয়র ও ঢাকার সংসদ সদস্যদের সাথে বসা হবে।
সিটি নির্বাচনে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ কিছু দুর্বলতা অবশ্যই আছে। এটা উত্তরণের জন্য মহানগরে ওয়ার্ড, থানায় সম্মেলন করে কমিটি করা হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ ওয়ার্ডে বিজয়ী কাউন্সিলর ৯৮ জন, সংরক্ষিত ৩৪ জন, মোট ১৩২ জন। ১৬ জন বিদ্রোহী কাউন্সিলর বড় কোনো সংখা নয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।