টানা ২০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ভেনিজুয়েলার বিদ্যুৎ সরবরাহ। তবে এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থা। শহরের মেট্রো এবং রেল চলাচল পুরোদমে শুরু না হওয়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে শুরু হওয়া ব্লাক আউটই ছিল ২০১২ সালের পর সবচেয়ে দীর্ঘ।
এদিকে ভেনিজুয়েলার বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদো যুক্তরাষ্ট্রের খেলনা পুতুল নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষ মার্কিন প্রতিনিধি ইলিয়টস আব্রামস। দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সমর্থকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে
গুয়াইদো বলেছেন, মাদুরোর স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণেই ভেনেজুয়েলা কঠিন সময় পার
করছে। এদিকে ২০১৮ সালে আড়াই
লাখের বেশি মানুষ ভেনেজুয়েলা
ছেড়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে
বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ব্লাক আউট নিয়ে ভেনিজুয়েলার
ক্ষমতাসীন এবং বিরোধীরা এখনো
পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। গত শুক্রবার (৮ মার্চ) দেশটির
ভাইস প্রেসিডেন্ট এ সঙ্কটের জন্য
বিরোধী নেতা গুয়াইদো এবং
যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন।
তবে পাল্টা বক্তব্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে দায়ী করেন গুয়াইদো। গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেয়া বক্তব্যে ভেনিজুয়েলার সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরে ক্ষমতা ছাড়তে মাদুরোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ভেনিজুয়েলার বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদো বলেন, ভেনিজুয়েলার মানবিক পরিস্থিতি আজ খুবই খারাপ। নানা সঙ্কটে জর্জরিত দেশটির সাধারণ মানুষ। সর্বশেষ ভেঙ্গে পড়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। এ সব কিছুর জন্য দায়ী মাদুরো সরকার।
তবে ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মার্কিন প্রতিনিধি ইলিয়টস আব্রামস। তার দাবি নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্যই সোচ্চার ভেনিজুয়েলার সাধারণ মানুষ।
ভেনিজুয়েলা ইস্যুতে নিযুক্ত বিশেষ মার্কিন প্রতিনিধি ইলিয়টস আব্রামস বলেন, অনেকেই ভেনিজুয়েলার বিরোধী নেতা গুয়াইদোকে যুক্তরাষ্ট্রে খেলার পুতুল বলে অভিহিত করছেন। কিন্তু এটা নিছক একটি
