আগুনে পুড়ে ছাই হওয়া দোকানের সামনে আহাজারি করছেন রাজধানীর খিলগাঁও কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীরা। বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে লাগা আগুনে বেশ কিছু দোকান ও মালামাল পুড়ে। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মী। তবে আগুন লাগার সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো কিছু জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে লাগুন লাগতে পারে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের।
রাতে রেখে যাওয়া দোকান সকালে এসে নেই দেখে ব্যবসায়ীদের কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে বাজারের পরিবেশ। জীবিকার একমাত্র অবলম্বন শেষ সম্বলটুকু কতটুকু রক্ষা করা সম্ভব সেই চেষ্টা করে ফিরছেন কেউ কেউ। দোকানিরা বলছেন, বৈশাখ ও ঈদকে সামনে রেখে দোকানগুলোতে মালামাল রাখা ছিল। তাদের লাখ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
এক দোকানী বলেন, রাত তিনটার দিকে তার এক প্রতিবেশি দোকানে আগুন লাগার খবর দেন। এরপর ছুটে এসে দেখেন দোকান পুড়ে ছাই। তার বাবা বাড়ি থেকে দোকানের জন্য টাকা এনে পণ্য উঠিয়েছেন, তার আর কিছুই নাই। সব শেষ।
অন্য এক দোকানি আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘এটাই আমার শেষ সম্বল ছিল ভাই। আমার সব শেষ হয়ে গেছে ভাই।’
বাজারের সামনে আরেক জানান, রমজান মাস সামনে রেখে দোকোনে অনেক বেশি পণ্য দোকানে তুলেছিলেন। প্রায় ২০ লাখ টাকার মাল ছিল।
এদিকে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। তাদের ১৫টি ইউনিটের প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি সময় চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর বনানী, গুলশান, ডেমরা, গাউছিয়া মার্কেট ও তোপখানা রোডে ট্রপিক্যাল টাওয়ারের পর এবার আগুন লাগল খিলগাঁও কাঁচাবাজারে।
গত ২৮ মার্চ বনানীর ২২তলা এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৭১ জন আহত হন। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর একদিন পরই ৩০ মার্চ গুলশান-১ ও ২ নম্বর এলাকায় আগুন লাগে। ১ এপ্রিল মাত্র আধা ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর ডেমরা ও গাউছিয়া মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বুধবার আগুন লাগে তোপখানা রোডে ট্রপিক্যাল টাওয়ারে।