বেনাপোলে ২০০ কেজি ভায়াগ্রার চালান আটক

সারাদেশ ডেস্ক

বেনাপোলে ২০০ কেজি ভায়াগ্রার চালান আটক
ছবি : সংগৃহিত

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যশোরের বেনাপোল বন্দরে প্রথমবারের মতো অবৈধভাবে ভারত থেকে আমদানিকৃত ২০০ কেজি ভায়াগ্রার চালান আটক করেছে।

জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এই চালানের বিষয়ে আজ বুধবার বেনাপোল কাস্টমস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী এ তথ্য জানান।

universel cardiac hospital

কাস্টমস সূত্র জানায়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রেড গ্রিন ইন্টারন্যাশনাল ভারত থেকে ৫০০ কেজি ফ্লেভার আমদানি করে। যার এলসি নং-২৯৬৬১৯০১০০৩৬, তারিখ: ০২/০৪/২০১৯। কাস্টমস মেনিফেস্ট নাম্বার- ১৩৬১৩ তারিখ: ১০/০৪/২০১৯ বিল অব এন্ট্রি নম্বার -সি-২৫৫৭৭, তারিখ: ১৩/০৪/২০১৯, পণ্য চালানটি রাজস্ব পরিশোধ করে বন্দর থেকে খালাশ নেয়ার সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা এটি আটক করে।

পণ্য চালানের সঙ্গে ফ্লেভার ৫০০ কেজি, সাদা পাউডার ২০০ কেজি, সিরিঞ্জ ১ লাখ ৯৪ হাজার পিস, ইমিটেশন জুয়েলারি ১১০.৭৭ কেজি, শাড়ি ৩০৩ পিস, ওড়না ১৪ পিস, কামিজ ১০ পিস, সালোয়ার ০৯ পিস, থ্রিপিস ৩৮ পিস, শার্ট ১৯ পিস, প্যান্ট ১২২ পিস।

পরে সতর্কতার সঙ্গে কাস্টম হাউসের নিজস্ব অত্যাধুনিক ল্যাবে পরীক্ষা শেষে ২০০ কেজি ভায়াগ্রা পাওয়া যায়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর পণ্য বিবেচনায় পণ্যের নমুনা খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) পাঠানো হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর কুয়েট পরীক্ষা করে পণ্যটিকে ৯৮% ভায়াগ্রা বলে রিপোর্ট প্রদান করে।

কুয়েটের প্রতিবেদনপ্রাপ্তির পরই অপঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত হয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার ১৮২ সদস্য দেশকে মাদক, বিস্ফোরক ও এ ধরনের ক্ষতিকর পণ্য চোরাচালানের বিষয়ে দীর্ঘদিন সর্তকবার্তা দিলেও বাংলাদেশেই প্রথম আটক হলো এ ধরনের পণ্যের চালান।

বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে জানানো হলে তারা ভবিষ্যতে আরও সতকর্তার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দেন বেনাপোলসহ সব কাস্টমস হাউসকে।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্ট আহাদ এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য যুগ্ম-কমিশনারের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে। ইতিমধ্যে এ ধরনের আর একটি চালান সন্দেহের তালিকায় রেখে খালাস স্থগিত করে নিবিড়ভাবে অনুসন্ধান করা হচ্ছে বন্দর অভ্যন্তরে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে