স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সিউলের হ্যামিল্টন হোটেলে সম্প্রতি এক ফলপ্রসূ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি টিম ব্যক্তিগত সফরে দক্ষিণ কোরিয়া ভ্রমণ করেন। সফরকালীন সময়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজি মেজর সোহেল ছাড়াও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা তার সঙ্গে ছিলেন৷
তারা বাংলাদেশ দূতাবাসেও পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন এবং সমাধান বিষয়ে কী করণীয় তার জবাব দেন। কিছু সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
২২ আগস্ট সিউলের মনোরম সন্ধ্যায় দুদেশের বিশিষ্টজনের মধ্য আলোচনায় বাংলাদেশ কোরিয়ার অনেক দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে উঠে আসে।
আলোচনায় কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্য ব্যবসায় সম্প্রসারণ, বাংলাদেশে বিদেশি বিশেষ করে কোরিয়ার ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা প্রদান সংক্রান্ত বিষয় স্থান পায়৷
মন্ত্রী বলেন, দেশ এখন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু সমস্যা আছে যার সমাধানের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
বিশেষ করে বাংলাদেশে যেন বিদেশীরা নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে তার নিশ্চয়তা আমার দপ্তর কাজ করছে৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ী বিদেশীদের নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দিয়ে থাকেন।
তিনি উপস্থিত কোরিয়ার ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা নির্বিঘ্নে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। নিরাপত্তাজনিত যে কোনো সমস্যায় আমার সঙ্গে আমার অফিসের সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। সমস্যা সমাধানের যথাযথ কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ড. উ সাং মিন ও পরিচালনা করেন কেবিসিসির সাধারণ সম্পাদক আবুবকর সিদ্দিক রানা।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের যুগ্মসচিব হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, যুগ্ম সচিব শওকত আলি, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের ডাইরেক্টর তাওহিদুল ইসলাম কোরিয়ার বিখ্যাত রোড ব্লকিং সিকিউরিটি কোম্পানি ডি এস এর সিইও মি. লি উন উ, কেবিসিসির ভাইস প্রেসিডন্ট মিস জন গুম বুন, প্রধান উপদেষ্টা মি. ও গিয়ং ইন, ডাইরেক্টর মি. ইয়ংজু, ফরেন ফুড লিমিটেডের সিইও মি. কিম সিরাজি রবিন প্রমুখ।