ইসি এখন আর স্বাধীন নেই : মির্জা ফখরুল

বিশেষ প্রতিনিধি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনসহ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেয়া বেশি কিছু উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই কমিশনের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই- এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেছেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন এখন আর স্বাধীন নেই। তারা সরকারের হুকুম তামিলের জন্য আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফখরুল।

universel cardiac hospital

‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন-২০২০ প্রণয়ন, নির্বাচনী আইন (পিআরও) সংশোধনী প্রস্তাব এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনী আইন-২০২০ প্রণয়নে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ: বিএনপির প্রতিবাদ ও প্রত্যাখ্যান’ করে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা (ইসি) কী কারসাজিতে যুক্ত তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তাদের অতীত কর্মকাণ্ডে এটি স্পষ্ট যে, নির্বাচন কমিশন সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়নেই তৎপর রয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মহামারি করোনা এই গ্রহের সকল মানুষের স্বাভাবিক জীবনপ্রবাহকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে, বাংলাদেশও যা থেকে মুক্ত নয়। দেশে স্বাভাবিক জীবনব্যবস্থা ফিরে আসেনি। বরঞ্চ পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে পড়ছে। এমন পটভূমিকায় এ পর্যায়ে জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নতুন যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্তগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে অপ্রত্যাশিত। আর তা যদি হয় দীর্ঘমেয়াদে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট কিংবা জনগণের ভোটাধিকার বা অধিকার-সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে জড়িত, তাহলে সে বিষয়ে ন্যূনতম সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বর্তমান মহামারিকালীন সময় নিঃসন্দেহে অনুপযুক্ত।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অথচ নির্বাচন কমিশন এই সময়টিকে বেছে নিয়েছে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য আইন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরপিও এর অনেকগুলো মৌলিক সংশোধনী আনয়নের জন্য। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগকে অপ্রয়োজনীয়, হঠকারী ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এই উদ্যোগ কোনো বিবেচনাতেই স্বাভাবিক কিংবা সময়োচিত নয় বরং অস্বাভাবিক, অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য এবং মহল বিশেষের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অপকৌশল বলে আমরা মনে করি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আগেই দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জেলায় অফিস বা কমিটি করার যে কথা বলা হয়েছে, সেটি মোটেই বাস্তবসম্মত নয়। তাছাড়া রেজিস্ট্রেশনের আগে ‘প্রস্তাবিত’ দলীয় প্রতীকে কারও নির্বাচন করার সুযোগ নাই। বেশিরভাগ সক্রিয় রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে হলে নির্বাচন কমিশনকে এই বিধান পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে